বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সমকামিতা'সহ নানান অভিযোগে ইবি'র ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষককে অপসারণ 

  • সাকিব আসলাম, ইবি প্রতিনিধি   
  • ৩০ জুন, ২০২৫ ১৪:৩৮

সমকামিতা, নারী শিক্ষার্থী হেনস্তা সহ নানান অভিযোগের কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুল ইসলাম-কে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেটে পাশ হওয়ার পর উপাচার্যের নির্দেশে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে। কখন কী করা লাগবে এবং বাকিটা ব্যাখ্যা দিতে পারবেন সিন্ডিকেট।’

অফিস আদেশ সূত্রে, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মো. হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনাপূর্বক গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৬ তম সভার ৪৪ নং প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির (4) i (b) ও (৫) ধারা মোতাবেক তাঁকে বাৎসরিক ০১ (এক) টি ইনক্রিমেন্ট/ধাপ বাতিল করা হয় এবং তাঁকে ১ (এক) বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়।

তবে উক্ত সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে পুনর্বিবেচনার দাবি ওঠলে এবং বিভাগের সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৭ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টি পুনরায় ব্যাপক তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশক্রমে আবারও গত ৩১ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৮ তম (সাধারণ) সভার ০৭ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী তদন্তের আলোকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে তাঁর এহেন কর্মকান্ড ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির চরম পরিপন্থি বলে প্রমাণিত হয়। পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৪(১) (F) ধারা মোতাবেক তাঁকে ৩১ মে ২০২৫ তারিখ থেকে চাকুরী হতে অপসারণ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাফিজুল ইসলামের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বাতিল ও এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে শিক্ষার্থীরা এই শাস্তিকে অপ্রতুল দাবি করে তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ২৮ জানুয়ারি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন, যা প্রশাসনের আশ্বাসে সাময়িক স্থগিত হয়। পরে ১৬ মে উচ্চতর তদন্ত কমিটি এসে পুনরায় জবানবন্দি চাইলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে প্রহসন বলে উল্লেখ করেন এবং উপাচার্যের সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

এ বিভাগের আরো খবর